1. barurarkotha@gmail.com : barurarkotha : baruarkotha
  2. reporter1@barurarkotha.com : বরুড়ার কথা প্রতিনিধি : বরুড়ার কথা প্রতিনিধি
  3. admin@barurarkotha.com : unikbd :
শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন

দ্বিগুণ মাত্রার শব্দ দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী

  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১৪ বার পঠিত
দ্বিগুণ মাত্রার শব্দ দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী

তানভীর দিপু  !! কুমিল্লায় ব্যস্ততম এলাকা গুলোতে শব্দের মাত্রা দ্বিগুণ। এসব এলাকায় মানুষজন প্রতিনিয়ত শব্দ দূষণের শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত শব্দের স্বাভাবিক মাত্রা ৪৫ ডেসিবেল এর দ্বিগুণ শব্দ সহ্য করতে হচ্ছে এই এলাকাগুলোতে। পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার এক জরিপে দেখা গেছে, কান্দিরপাড়ে গড় শব্দের মাত্রা ৮২.১ ডেসিবল, পুলিশ লাইনে ৭৯.৩ ডেসিবল, শাসনগাছায় ৯২.২ ডেসিবল, টমছমব্রীজ এলাকায় ৮০.৮ ডেসিবল এবং জাঙ্গালিয়ায় ৭৮.৭ ডেসিবল। কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবসের আলোচনা সভায় এই তথ্য উপস্থাপন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টায় কুমিল্লা নগরীর নগর উদ্যানের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে থেকে র‌্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এসে র‌্যালি সমাপ্তি হয়। এর আগে দিনটি উপলক্ষে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়।এই উপলক্ষে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষে কুমিল্লা সদর সার্কেল কামরান হোসেন, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুল আলম।

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোসাব্বের হোসেন রাজিব। তিনি বলেন, বাংলাদেশে তিন ধরণের দূষণ বেশী হয়। সেগুলো হলো, পানি, বায়ু ও শব্দ। শব্দ দূষণের কারণে হৃদরোগসহ আরো অনেক রোগ ব্যাধি দেখা দেয়। এতে শিশুর মেধা বিকাশেও বাধা দেয়। তাই আমারা শব্দ দূষণ রোধে সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণমূলক কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। শব্দ দূষণের মাত্রা কমাতে আমাদের পাশাপাশি সবাইকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
এসময় আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, ‘শব্দ দুষণ মানব দেহে মারত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। শব্দ মানব দেহের কান দিয়ে প্রবেশ করে মস্তিস্কে প্রবেশ করে। ফলে মানুষ বিশেষ করে শিশুরা বধির হয়ে পড়ে। যানবাহনের হর্ণ শব্দ দূষণের একটি অন্যতম মাধ্যম। তাই, বিআরটিএ’র উচিৎ একটা গাড়ি যখন লাইসেন্স নিতে আসবে তখন সেটা কোন হর্ণ ব্যবহার করছে সেটা দেখে লাইসেন্স দেওয়া। এছাড়াও, শব্দদূষণের ফলে মানুষের বহুমাত্রিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিসমূহ হলো- মাথাব্যাথা, অনিদ্রা, কানে কম শোনা এবং আংশিক বা পুরোপুরি বধিরতা, মানসিক চাপ, হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ, ক্ষুধামন্দা এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর জন্ম হওয়া। জনস্বাস্থ্য ও সাধারণ মানুষের জীবনমানের ওপর শব্দের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলো সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে এবং সকলকে সচেতন হতে হবে।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফাহমিদা মোস্তফার সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. এ কে এম আসাদুজ্জামান, জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আবদুস সালাম, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কুমিল্লা জেলার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম, সাপ্তাহিক অভিবাদন সম্পাদক আবুল হাসানাত বাবুল সহ বিভিন্ন স্তরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও নগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

 

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩
Theme Customized By BreakingNews