1. barurarkotha@gmail.com : barurarkotha : baruarkotha
  2. reporter1@barurarkotha.com : বরুড়ার কথা প্রতিনিধি : বরুড়ার কথা প্রতিনিধি
  3. admin@barurarkotha.com : unikbd :
শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ০৮:৩০ অপরাহ্ন

কুমিল্লা কারাগারে ঝাড়ুদারের কাজ পেলেন পাপিয়া

  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০২৩
  • ১৩৪ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাপিয়া, রাখা হবে বিশেষ নজরে।বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের নরসিংদী জেলা কমিটির বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়াকে গাজীপুরের কাশিমপুর থেকে কুমিল্লা কারাগারে আনা হয়েছে। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে এক নারী হাজতিকে নির্যাতনের অভিযোগে তাকে স্থানান্তর করা হয়।

গতকাল সোমবার (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় তাকে প্রিজন ভ্যানে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মামুন।

কারাগারের একটি সূত্র বলছে, রাত সাড়ে ৯টায় কারাগারে আনার পরই তাকে নারী ওয়ার্ডে রাখা হয়। কারাগারে দুটি নারী ওয়ার্ড। ছোটটিতে গর্ভবতী ও সন্তানসহ বন্দিদের রাখা হয়। বড়টিতে রাখা হয় অন্যদের। সেখানে ২০-৫০ জন বন্দি থাকতে পারেন। এই ওয়ার্ডেই পাপিয়া রাত পার করেছেন। অন্য কয়েদিদের সঙ্গেই তাকে রাখা হয়েছে। অন্য সবার মতো তার খাবার, ঘুমানোসহ সব ব্যবস্থা ছিল একই নিয়মে।

কাশিমপুর কারাগারে পাপিয়ার ‘রাইটারের’ পদ থাকলেও এখানে আসার পর এখনও কোনও দায়িত্ব পাননি। তবে শিগগিরই তাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। এছাড়াও তাকে কারাগারে বিশেষ নজরে রাখা হবে, যেন আর কোনও অভিযোগ না ওঠে।

কুমিল্লা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘তাকে রাতে আনা হয়েছে। জেলবিধি অনুযায়ী তাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তবে গতকাল মাত্র এসেছে। আমরা অন্য কয়েদিদের সঙ্গেই তাকে রেখেছি। তাকে বিশেষ নজরে রাখা হবে।’উল্লেখ্য, ২৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে জেলবিধি অনুযায়ী পাপিয়াকে ‘রাইটার’ হিসেবে কাশিমপুর কারাগারে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এদিকে, নথি চুরির একটি মামলায় শিক্ষানবিস আইনজীবী রুনা লায়লাকে ১৬ জুন কাশিমপুর মহিলা কারাগারে আনা হয়। কারাগারের সাধারণ ওয়ার্ডে নেওয়ার পর দেহ তল্লাশি করে কর্তব্যরত মেট্রন তার কাছে সাত হাজার ৪০০ টাকা পান। ওই টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পাপিয়া ও তার সহযোগী কয়েদিরা গত ১৯ জুন রুনার ওপর অমানবিক নির্যাতন শুরু করেন বলে অভিযোগ তার পরিবারের।

একপর্যায়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রুনাকে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়। এ নিয়ে কারাগারের ভেতরে কেস টেবিল বা সালিশ বসে। সেখানে ত্রিমুখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বন্দি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে পাপিয়ার ভয়ে সাধারণ কয়েদিরা রুনার ওপর অমানুষিক নির্যাতনের প্রতিবাদও করতে পারেনি।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩
Theme Customized By BreakingNews