1. barurarkotha@gmail.com : barurarkotha : baruarkotha
  2. reporter1@barurarkotha.com : বরুড়ার কথা প্রতিনিধি : বরুড়ার কথা প্রতিনিধি
  3. admin@barurarkotha.com : unikbd :
রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন

দুর্বিষহ গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত

  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
  • ২৫ বার পঠিত

টানা তৃতীয় দিনে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান।
তিনি বলেন, মঙ্গল ও বুধবার দুদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যথাক্রমে ৪০ দশমিক ৬ এবং ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়।
থার্মোমিটারের পারদ ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
জামিনুর রহমান বলেন, “গত ১২ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। পরে তা কখনো মাঝারি কখনোবা তীব্র তাপপ্রবাহে রূপ নেই। বর্তমানে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে।”
তাপপ্রবাহ আগামীতে আরও বাড়তে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। তাপমাত্রা কমে আসবে এমন কোনো লক্ষণ নেই। বৃষ্টিরও কোনো পূর্বাভাস নেই বলে জানান তিনি।
এদিকে তীব্র গরমের মধ্যে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকছে তীব্র রোদের প্রকোপ। সকাল ১০টার পর থেকে রাস্তায় দিনমজুররা টিকতে পারছেন না।
রিকশা ও ভ্যান চালকরা পর্যাপ্ত যাত্রীও পাচ্ছেন না। তাদের আয় কমে গেছে। দুপুরের পর থেকে রাস্তায় লোকজন কম আসছে। জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে আসছেন না।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাবরিনা নাজ বলেন, “কলেজ থেকে বের হয়েছি। কবরী রোড হয়ে পৌরসভার সামনে যাব। আধা কিলোমিটারেরও কম পথ। এইটুকু পথও হাঁটতে ইচ্ছে করছে না। খুব গরম। গাছের ছায়াতেও হাঁটতে মন চাইছে না। টানা ৪-৫ ঘণ্টা বৃষ্টি দরকার। তাহলে যদি গরম কমে।”
একই কলেজের শিক্ষার্থী আলিফ আজমাইন বলেন, “কদিন ধরেই চলছে তীব্র গরম। যারা দিনমজুর তারা বেলা ১২টার পর আর কাজ করতে পারছেন না। ভোরে তাপমাত্রা কম থাকলেও তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। বাজারে মানুষের আনাগোনা কমে গেছে। বাড়িতে বাড়িতে জ্বর, কাশিতে ভুগছেন অনেকে। গরমের প্রভাবেই মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।”
সদরের হানুরবাড়াদী গ্রামের কৃষক দোয়াল্লিন বলেন, “গরমে কচুর ক্ষেতের ক্ষতি হচ্ছে। পাতা পুড়ে যাচ্ছে। কলার কান্দি ভেঙে ভেঙে পড়ে যাচ্ছে। মাঠে ধানেরও ক্ষতি হচ্ছে। পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। ধানের ফুলের ক্ষতি হচ্ছে।”

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩
Theme Customized By BreakingNews