1. barurarkotha@gmail.com : barurarkotha : baruarkotha
  2. reporter1@barurarkotha.com : বরুড়ার কথা প্রতিনিধি : বরুড়ার কথা প্রতিনিধি
  3. admin@barurarkotha.com : unikbd :
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লায় জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪
  • ৯০ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শিক্ষক-সহপাঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তী আত্মহত্যা করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী।শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টায় নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য আম্মান সিদ্দিকী নামে তার এক সহপাঠীকে দায়ী করেছেন। একইসঙ্গে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকেও এ ঘটনার জন্য দায়ী করেন।অবন্তিকা কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাও ফায়ার সার্ভিস পুকুর সংলগ্ন একটি বাসায় পরিবারের সাথে ভাড়া থাকতেন। শুক্রবার দিবাগত রাত দশটার দিকে বাসার ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পান স্বজনরা। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকৃত ঘোষণা করেন।

 

অবন্তিকা কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক প্রয়াত জামাল উদ্দিনের কন্যা বলে জানা গেছে।

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন জানান, বাগিচাগাঁও এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে আত্মীয়-স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে । এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও তার মৃত্যুর বিষয় যদি কারো কোন প্ররোচনা থাকে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

 

ফেসবুক পোস্টে যা লিখেছেন অবন্তিকা….

মারা যাওয়ার পূর্বে শুক্রবার রাত দশটার দিকে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন অবন্তিকা। সেখানে তিনি লিখেন –

‘আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী, আর তার সহকারী হিসেবে তার সাথে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন অনলাইনে থ্রেটের উপর রাখতো সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করে ও আমার লাভ হয় নাই। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানান ভাবে ভয় দেখায় আম্মানের হয়ে যে আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার। আমি জানি এখানে কোনো জাস্টিস পাবো না। কারণ দ্বীন ইসলামের অনেক চামচা ওর পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। এই লোককে আমি চিনতাম ও না। আম্মান আমাকে সেক্সুয়ালি এবিউজিভ কমেন্ট করায় আমি তার প্রতিবাদ করলে আমাকে দেখে নেয়ার জন্য দ্বীন ইসলামের শরণাপন্ন করায়। আর দ্বীন ইসলাম আমাকে তখন প্রক্টর অফিসে একা ডেকে নারীজাতিয় গালিগালাজ করে। সেটা অনেক আগের ঘটনা হলেও সে এখনো আমাকে নানাভাবে মানহানি করতেসে বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন কথা বলে। আর এই লোক কুমিল্লার হয়ে কুমিল্লার ছাত্র কল্যাণের তার ছেলেমেয়ের বয়সী স্টুডেন্ট দের মাঝে কী পরিমাণ প্যাঁচ ইচ্ছা করে লাগায় সেটা কুমিল্লার কারো সৎসাহস থাকলে সে স্বীকার করবে। এই লোক আমাকে আম্মানের অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে ৭ বার প্রক্টর অফিসে ডাকায় নিয়ে ” খানকি তুই এই ছেলেরে থাপড়াবি বলসস কেনো? তোরে যদি এখন আমার জুতা দিয়ে মারতে মারতে তোর ছাল তুলি তোরে এখন কে বাঁচাবে? “

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩
Theme Customized By BreakingNews